প্রথম আলোকে গালি দিতে হলে সরাসরি প্রথম আলোকেই দিন। স্পষ্ট করে বলুন, প্রথম আলোকে পছন্দ করিনা। এজন্য নিষ্পাপ ফারাজকে জঙ্গি বানাতে হবে? একটুও হৃদয় কাঁপে না আপনাদের?
অনলাইন পোর্টালের হিট বাড়াতে চাইলে পর্ণগ্রাফি ছাড়ুন। সাইটে হিট বাড়বে। এজন্য ফারাজকে নিয়ে মিথ্যা নিউজ করতে হবে?
যে ছেলেটা নির্মমভাবে মারা গেলো, মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েও যে বাচ্চা ছেলেটা অসমীম সাহসিকতায় বললো, বন্ধুদের ছেড়ে আমি যাবো না, সেই মৃত ছেলেটাকে জঙ্গি বানাতে বসে গেলেন? একবারও তার মা, পরিবার, স্বজনদের কথা ভাবলেন না? একবারও মনে হলো না, এই প্রবল শোকের সময় এই ধরণের খাজুরা খবর, কী নিদারুন কষ্টকর তার পরিবারের জন্য?
দেশ ধ্বংসের জন্য জঙ্গিদের দায়ী করেন? নিজেরা কি? আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। আপনি নিজেও একজন জঙ্গির চেয়ে কোনো অংশে কম নন। সুযোগ পেলে আপনি নিজেও কম যাবেন না।
খুব তো চান্স পেলে পুলিশকে গালিগালাজ করেন। অপরাধীদের ধরার নামে পুলিশ নিরীহ মানুষদের হয়রানি করে। আপনি কম কীসের? ফেসবুকে বসে বসে কেবল মাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে আপনি কাউকে জঙ্গি, কাউকে নাস্তিক বানাচ্ছেন। একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার ক্ষেত্রে আপনার অবদান কি কম?
খুব তো রাজনীতিবিদদের গালি দিতে পারেন। তারা জাতীয় ঐক্য করতে পারে না। আপনি নিজে কি পারেন? দুর্যোগের সময় একটু ধৈর্য্য ধরে , একটু সহমর্মিতা নিয়ে আপনি নিজে কি ঐক্য আর সংহতির বাণী লিখেছেন কোথাও?
ফারাজ খুন হয়েছে সকালের উদ্ধার অভিযান হওয়ার অাগেই। উদ্ধার হওয়া একজন জানিয়েছেন বান্ধবীকে বাঁচাতে অস্ত্রের সামনে বাধা দিলে আঘাতে তাঁর ডান হাতের নিচের অংশ কাটা পড়ে। প্রথম ছবিটা দেখেন। সাইট ইন্টেলিজেন্স অভিযানের অাগেই ছবিটা প্রকাশ করেছে। সেনাবাহিনী যখন সকালে অভিযান চালাতে যায় ফারাজ জীবিত ছিল না।
এই যে দেখুন। ছবিতে লাল শার্ট পরা মেয়েটির ডান পাশে ছাইরঙা পোলো শার্ট পরা ফারাজ। তার পায়ের কাছে আরেকজন নিহত তরুণী পড়ে আছেন।ফারাজের পরিবার এই ছবি দেখেই নিশ্চিত হন যে সে বেঁচে নেই। কারণ টি শার্টটা মায়ের দেওয়া। যে ছবিটা ফারাজ বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেটা তার নয়। অার এই ছবিটা সকালের। তখন অার ফারাজ বেঁচে নেই।
আপনি ভাল হোন। তাহলে দেশ ভাল হবে।